অফিসে একঘেয়েমি কাটাতে

# রুটিন কাজের বাইরে কোনো নতুন চ্যালেঞ্জ নেওয়ার চেষ্টা করুন। হয়তো অফিসে কোনো নতুন প্রজেক্ট নিয়ে কথা চলছে, আপনার সে রকম কোনো ভূমিকা না থাকলেও নিজ থেকে একটা কোনো দায়িত্ব নিতে আগ্রহী হোন। হয়তো একটু বেশি সময় কাজ করতে হবে, কাজ নিয়ে মাথাব্যথাও বাড়বে কিন্তু আপনার একঘেয়েমি কাটাতে এবং নতুন কাজ শেখার ক্ষেত্রে এর থেকে ভাল উপায় খুব কমই রয়েছে।
# কাজের ফাঁকে ফ্রি টাইমে বা লাঞ্চ আওয়ারে নিজের পছন্দের একটা কাজ করুন। ম্যাগাজিন পড়া আইপডে গান শোনা বা বন্ধুকে ই-মেইল পাঠানোর মতো কাজ আপনার মুদ্র লিফটিংয়ে সাহায্য করবে।
# আপনার দৈনন্দিন কাজের আওতার বাইরে যে কোনো একটা নতুন স্কিল আয়ত্তে আনুন। ইন্টারনেট সার্চ করে নিত্যনতুন তথ্য আয়ত্তে রাখতে পারেন। তাহলে নিজের ডেভেলপমেন্টের সাথে সাথে কাজেও নতুন মাত্রা আনতে সক্ষম হবেন।
# কাজ করতে করতে অন্য কোনো সহকর্মীর দিকে সাহায্যেও হাত বাড়িয়ে দিন। কাজে একটু রদবদল আসবে, সেই সঙ্গে অন্যকে সাহায্য করার মধ্য দিয়ে যে আত্মতৃপ্তি পাওয়া যায়, সেটাও পুরো মাত্রায় লাভ করবেন।
# অফিসকে মনের মতো সাজিয়ে তুলুন। যে জায়গায় বসে একটানা কাজ করতে হয়, সেটা বেশ সাজানো-গোছানো থাকলে মন ভাল থাকতে বাধ্য। আর মন ভাল থাকলে একঘেয়েমি ভাবটা সহজ আর ছুঁতে পারবে না।

স্বাক্ষাৎকারে যে ভুলগুলো হতে পারে

মানুষ ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন যে কি না স্বাক্ষাৎকার সম্পূর্ণ নির্ভুলভাবে সম্পন্ন করতে পারে। আপনি হয়ত দ্রুত কথা বলেন, চোখের দিকে তাকাতে ভুলে গেছেন। নিজের সম্পর্কে মিথ্যা বলেছেন, অনেক সুগন্ধি ব্যবহার করেছেন, স্বাক্ষাতে পৌঁছতে দেরি করেছেন। এতে ঘাবরাবার কিছু নেই। মনে রাখবেন চাকরি প্রার্থীদের কেউই পরিশুদ্ধ নয়। অনেকে মনে করেন নতুন চাকরি প্রার্থীরাই শুধু ভুল করে। তবে এটা প্রমাণিত, নতুন পুরাতন সবাই কিছু না কিছু ভুল করে। যে বিষয়গুলো প্রত্যেক প্রার্থীকে এড়িয়ে চলা উচিত সে বিষয়গুলো নি¤েœ তুলে ধরা হল।
১. লক্ষ্য তৈরি করা : আপনার লক্ষ্য তৈরিতে দেরি করবেন না। নিজের রিজিউম তৈরি রাখুন। লক্ষ্য অর্জনের পরিকল্পনা করুন। তারপর সময় নষ্ট না করে ঝাঁপিয়ে পড়–ন।
২. অভিনয় করবেন না : স্বাক্ষাৎকার গ্রহীতার সাথে কখনও এমন আচরণ করবেন না যা কিনা আপনার প্রতি বিদ্রুপ প্রতিক্রিয়া ফেলতে পারে।
৩. ডাক নাম পরিত্যাগ : স্বাক্ষাৎকার গ্রহীতাগণ আপনাকে ডাক নামে সম্বোধন করতে পারেন, কিন্তু আপনার নাম জিজ্ঞাসা করা হলে কখনোই ডাক নাম বলতে যাবেন না।
৪. নিজেকে প্রকাশ : নিজেকে প্রকাশ করুন নিজের মতো করে যেন আপনার ব্যক্তিত্বের সঠিক বহি:প্রকাশ ঘটে।
৫. নির্জীবতা : আপনার প্রস্তুতি, অনুশীলন ধৈর্য থাকলে নিজেকে নির্জীব বা প্রাণহীন করে বসে থাকবেন না। মনে রাখবেন আপনার নির্জীবতা আপনাকে আত্মবিশ্বাসহীন হিসেবে চিহ্নিত করে।
৬. নিজেকে তুচ্ছ ভাবা : আপনার মার্জিত পোশাক আপনার আচরণ সবকিছু আপনার অবস্থানকে অনেক বেশি দৃঢ়তা দেয় কাজেই নিজেকে তুচ্ছ মনে করবেন না।
৭. আবেদনের জন্য আবেদন করা : সকল প্রতিষ্ঠানেই আবেদন করতে হবে এমন কোন কথা নেই। আসল কথা যেখানেই আবেদন করছেন সেখানে সেরা প্রার্থী হিসেবে প্রমাণ করার চেষ্টা করুন।
৮. প্রয়োজনের অতিরিক্ত কথা বলা :
স্বাক্ষাৎকারের সময় আপনার পরিমিত কথা আপনাকে অনেক বেশি এগিয়ে দেবে। আপনি যতটা না জানেন তার চেয়ে বেশি জানেন বোঝাতে গেলেই আপনি সমস্যার সম্মুখীন হবেন।
৯. অপেশাদারী মনোভাব : আপনার আচরণে অবশ্যই পেশাদারী মনোভাব থাকতে হবে। কারণ আপনি চাকরির জন্য যাচ্ছেন কোন অনুষ্ঠানে নয়। বসার সময় অবশ্যই মাজা সোজা করে বসবেন।
১০. বড় রিজিউম পাঠানো : মনে রাখবেন আপনার রিজিউম দেখে সর্বোচ্চ ১৫-২০ সেকেন্ড সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেয়া আপনার ভিতর কি আছে। তাই অযথা পৃষ্ঠা ভারি করে কোন লাভ নেই।
১১. নিজের কাজ নিজে করুন : আপনি নিজের কাজ নিজেই করুন মনে রাখবেন প্রত্যেক প্রার্থীই আপনার প্রতিযোগী। যদিও অন্যকে সহায়তা করা উচিত তবুও কারো সহায়তা নেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
১২. সাহায্য কামনা : একজন প্রার্থী হিসেবে কারও সাহায্য প্রার্থনা কখনোই সমীচীন নয়। যদি একান্তই কোন তথ্য জানা প্রয়োজন পড়ে তাহলে কর্তৃপক্ষের কাউকে জিজ্ঞাসা করুন।
১৩. ধন্যবাদ দিতে ভুলে যাওয়া : কখনোই ধন্যবাদ দিতে ভুলে গেলে চলবে না। মনে রাখবেন আপনার এই সাধারণ সৌজন্যবোধ আপনার প্রতি কর্তৃপক্ষের এক অন্যরকম দৃষ্টিভঙ্গির সৃষ্টি হতে পারে। যা আপনাকে সফল হতে সাহায্য করবে।
১৪. পূর্বের চাকরি সম্পর্কে খারাপ বলা : কখনোই পূর্বের চাকরি সম্পর্কে খারাপ মন্তব্য করবেন না। এতে আপনার হাতে বিপরীত হতে পারার সম্ভাবনই বেশি। মনে রাখবেন পৃথিবীর প্রত্যেক কাজই সম্মানের আর প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের কাজই উন্নতি করা।
১৫. প্রশ্ন কর্তাকে প্রশংসা করা : কখনোই প্রশ্ন কর্তাকে বলবেন না সুন্দর প্রশ্ন বা প্রশ্নটি যুগোপযোগী বা আমি জানতাম প্রশ্নটি করবেন। এমন ধরনের কথা আপনার অবস্থাকে সম্পূর্ণ নষ্ট করে দিতে পারে।

পেশা হিসেবে কোয়েল পালন

বাংলাদেশে পেশাগত বিষয়ে নতুন নতুন অনেকগুলো পেশা বের হয়েছে তাদের মধ্যে কোয়েল পালন একটি নান্দনিক পেশা। এ পেশায় ঝুঁকি যেমন রয়েছে কম তেমনি লাভও রয়েছে বেশি। তবে দেশে চাহিদার চেয়ে কোয়েল পালনে ব্যবসায়ীর সংখ্যা কম। আবার এ ব্যবসায় যারা জড়িত রয়েছে তারা অধিকাংশই শখের বসত কোয়েল পালন করে থাকে। তবে বর্তমান অনেক স্বপ্ন পুঁজির ব্যবসায়ী কোয়েল পালন পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন তার সংখ্যা অপ্রতুল: দেশে যে হারে কোয়েল চাহিদা বেড়েছে সে হারে ব্যবসায়ীর সংখ্যা বাড়েনি। দেশের স্বল্প শিক্ষিত বেকার তরুণরা কোয়েল পালনকে পেশা হিসেবে বেছে নিলে নিজে যেমন স্বাবলম্বি হওয়ার সুযোগ রয়েছে। তেমনি আত্মসামাজিক অবস্থার উন্নয়নে ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। কোয়েল পালনকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে কি প্রয়োজন তার বিরুপ দেয়া হলোÑ
শুরু করবেন কিভাবে
প্রথমত যারা ঢাকা শহর সংলগ্ন অবস্থান করছেন। তারা কোয়েল পালন ব্যবসা করতে চাইলে তারা ঢাকার সাভারের কোয়েল খামার হতে ১৮/৩০ দিনের বাচ্চা সংগ্রহ করবেন। অথবা ঢাকার মিরপুর হতেও সংগ্রহ করতে পারেন। পরবর্তীতে বাচ্চাগুলোর পরিমাণ মাফিক কাঠের কিংবা লোহার খাচা তৈরি করবেন কোয়েলের বাচ্চাগুলোকে রাখবেন।
কত টাকা প্রয়োজন : গুলিস্তান সংলগ্ন মায়ের দোয়া পাখি হাউসের মালিক কামাল উদ্দিন দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, এক ক্ষুদ্র আয়ের ব্যবসায়ী ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে মাসে ৮/১০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। কাপ্তান বাজার কিশোরগঞ্জ বার্ড হাউজের মালিক রেজাউল করিম জানান, সাধারণত ১৮ দিনের কোয়েলের বাচ্চা একশত দাম তিন হাজার টাকা ২০ দিনের বাচ্চার দাম একশত ৩০ হাজার পাচশত টাকা, ২৫ দিনের বাচ্চা একশত দাম চার হাজার টাকা সর্বপরী একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মাসে ৩০ হাজার টাকা থেকে ৪০ হাজার বিনিয়োগ করলে কোয়েল পালনের ব্যবসা করা সম্ভব।
কত টাকা আয় হবে :
একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মাসে ৩০/৪০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে মাসে ৮/১০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। কেননা ১৮ দিনের ১০০ কোয়েলের বাচ্চা তিন হাজার ক্রয় করে এক মাস পালন করে সেই একশত বাচ্চা পাঁচ হাজার টাকা বিক্রি করা সম্ভব এইভাবে ছয়শত বাচ্চা ১৮ হাজার টাকায় ক্রয় করে একমাস পর ৩০ হাজার টাকা বিক্রি করা সম্ভব। অন্যদিকে একটি কোয়েল সাধারণত বছরে ২০০/৩০০ ডিম পাড়ে। সাধারণ তা কোয়েলের বয়স ২ মাস পর হতে ডিম পাড়া শুরু করে। কোয়েলের ডিম অন্যান্য পশুদের মতো প্রাকৃতিকভাবে ডিম থেকে বাচ্চা ফুটায় না। মূলত মেশিনের সাহায্যে কোয়েলের ডিম থেকে বাচ্চা ফুটিয়ে থাকে। বাংলাদেশে সাধারণ দুই ধরনের কোয়েল পাওয়া যায়, যথা সাদা এবং কালো। তবে কোয়েলের চাহিদা বেশি। কাপ্তান বাজার সাইট মার্কেটের মা বাবার দোয়া বার্ডম সেল, প্রোপ্রাইটর আব্দুল কাদের মৃধা আমাদের কে জানান, আমাদের দেশে কোয়েলের চাহিদা রয়েছে প্রচুর। বিশেষ করে শিক্ষিত তরুণ-তরুণীরা কোয়েল পালনের প্রতি বেশি পরিমাণে আগ্রহ দেখা যায়। তবে শখের বশত যে সব তরুণ-তরুণীরা কোয়েল পালনে আগ্রহী তাদেরকে যদি সরকারি পৃষ্ঠপোশকতায় কোয়েল পালনে আগ্রহী করে তোলা যায়, তাতে পালনে মানুষের আগ্রহ বারবে। কোয়েল পালনের আগ্রহী ব্যবসায়ীদের সম্পর্কে কাপ্তান বাজার ‘কিশোরগঞ্জ বার্ডস’ সেন্টারের প্রোপ্রাইটর আবদুল খালেক জানান, যারা কোয়েল পালনে আগ্রহী তাদের সব সময় খেয়াল রাখতে হবে কোয়েলসমূহ যেন ভাইরাসে আক্রান্ত না হয়। সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। যদি কোন কোয়েল ভাইরাসে আক্রান্ত হয়, রেনামাইসিন এবং কসমিস প্লাম এবং স্যালাইন খাওয়াবেন। অন্যথায় পশু হাসপাতালে যোগাযোগ করবেন। আমাদের দেশে পুরুষ প্রজাতির কোয়েলকে নর আর মহিলা প্রজাতির কোয়েলকে মাদী নামে পেয়ে থাকে। 

সহকারী শিক্ষক নিয়োগ

শিক্ষকতা একটি মহান পেশা। তাই পেশা হিসেবে শিক্ষকতা অত্যন্ত সম্মানজনক পেশা। যারা এ পেশায় আসতে চান তাদেরকে অর্থের চেয়ে সেবাকেই বেশি  গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ শিক্ষকই গড়ে তোলেন আগামী প্রজন্ম। এ কারণে পৃথিবীর সব দেশে এবং সমাজে সম্মান ও মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত রয়েছে শিক্ষকতা পেশা। অনেকে আবার নামিদামি চাকরি ছেড়ে যোগ দিয়েছেন শিক্ষকতায়। যারা এই মহান পেশায় যোগ দিতে চান তাদের জন্য প্রায় ১৫ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন প্রত্রিকায়। এ পেশায় যোগ দিয়ে জাতির ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে গড়ে  তোলার সংগ্রামে আপনিও রাখতে পারেন অগ্রণী  ভূমিকা। এ পেশা শুধু চাকরিরই নয়, দেশ ও জাতির বিবেককে জাগ্রত করার সুমহান দায়িত্বও বটে।
যারা আবেদন করতে পারবেন
সহকারী শিক্ষক পদে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন উভয় ধরনের প্রার্থীদের নিয়োগ করা হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ ২.০০ থাকতে হবে। অথবা কোন স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। প্রার্থী যে উপজেলা বা থানার স্থায়ী বাসিন্দা, সেই উপজেলার জন্যই আবেদন করতে হবে। তবে বিবাহিত প্রার্থীদের ক্ষেতে স্বামী বা বাবার স্থায়ী ঠিকানা দুটি থেকে যেকোন একটিতে আবেদন করতে পারেন। তবে প্রার্থীর বয়স অবশ্যই ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে।
যেভাবে আবেদন করতে পারবেন
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd  থেকে আবেদনপত্র ও প্রবেশপত্রের নমুনা সংগ্রহ করতে হবে। পূরণ করে আবেদনপত্র ও প্রবেশপত্র আগামী ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে ডাকযোগে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের বরাবরে পৌঁছাতে হবে। খামের ওপর প্রার্থীর নিজ উপজেলা বা থানার নাম লিখতে হবে। আবেদনের সাথে শিক্ষাগত যোগ্যতা ও নাগরিকত্বের সনদপত্রের সত্যায়িত ফটোকপিসহ পরীক্ষার ফি বাবদ ১৫০ টাকার ট্রেজারি চালানের মূলকপি, চার কপি ছবি এবং বিশেষ কোটায় আবেদন করলে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র দিতে হবে।
প্রস্তুতি  নিবেন যেভাবে
সকল চাকরির মতো এ পেশাতে প্রতিযোগিতা অনেক বেশি, তাই ভাল প্রস্তুতি কোন বিকল্প নেই । প্রথমে লিখিত পরীক্ষা অংশ নিতে হবে। নৈর্ব্যত্তিক পরীক্ষায় চারটি বিষয় নিয়ে প্রশ্ন হয়ে থাকে । যেমন বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞান। এ পরীক্ষায় বাংলা অংশে ভাল করতে হলে নবম-দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ ভালভাবে রপ্ত করতে হবে। ইংরেজি অংশের জন্য ইংরেজি গ্রামার , গণিতের জন্য ভাল করতে হলে ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে শুরু করে নবম-দশম শ্রেণীর গণিত এর ওপর ভাল দখল থাকতে হবে। আর সাধারণ জ্ঞান অংশের জন্য সমসাময়িক রাজনীতি, খেলাধুলা, বিজ্ঞান ও সাম্প্রতিক ঘটনা প্রবাহের দিকে বেশি নজর দিতে হবে।
নিয়োগ প্রক্রিয়া যেভাবে সম্পন্ন হবে
লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থী নির্বাচন করা হবে। লিখিত পরীক্ষা নৈর্ব্যক্তিক (এমসিকিউ)পদ্ধতিতে ৮০ নম্বরের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। এই লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ২০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষায় ৫ নম্বর থাকে প্রার্থীর একাডেমিক ফলাফলের ওপর, বাকি ১৫ নম্বরের পরীক্ষায় প্রার্থীর উপস্থাপনা, বুদ্ধিমত্তা ইত্যাদিও বিষয়ে দেখা হয়। এ পরীক্ষা প্রতিটি জেলার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস কর্র্তৃক গঠিত কমিটির মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে।
বেতন স্কেল
এই পেশায় নিয়োগ পাওয়া প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একজন সহকারী শিক্ষক জাতীয় বেতন স্কেল ২০০৯ অনুযায়ী ৪৯০০-২৯০ ী ৭-৬৯৩০-ইবি-৩২০ ী ১১-১০৪৫০ টাকা এবং প্রশিক্ষণবিহীন সহকারী শিক্ষক ৪৭০০-২৬৫ ী ৭-৬৫৫৫-ইবি-২৯০ ী ১১-৯৭৪৫ টাকা পাবেন।
বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর
সেকশন ২, মিরপুর, ঢাকা ১২১৬।
ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd

ভাল যোগাযোগ নেই তাই সুযোগ পাচ্ছি না

চাকরিতে সুযোগ আসলে কেউ দেয় না। সুযোগ করে নিতে হয়। সুযোগ করে নেয়ার জন্য কি করতে হবে, নিজের যোগাযোগটাকে সেভাবে বাড়াতে হয়। সুযোগের জন্য সব সময় সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং বা পরিচিতিটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ অধিকাংশ নিয়োগ হয় প্রথম পরিচয়ের সূত্রে। এই পরিচিতিটা বাড়ালে অর্থাৎ নিজের যোগ্যতা তুলে ধরতে হবে এবং অন্যের সাথে নিজ যোগ্যতা তুলনা করে কাজ করতে পারবেন। মনে রাখতে হবে সুযোগ কেউ কাউকে দেয় না, সুযোগটা আদায় করে নিতে হয়।
* যে যোগ্যতা আপনার রয়েছে শুধুমাত্র সেই কাজের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেন। যাদের এই কাজের জন্য দরকার হবে তাদের কাছে নিজেকে উপস্থাপন করার কৌশল জানতে হবে। আপনি যা জানেন এবং জানার পর ইন্টারভিউ বোর্ডে গিয়ে যদি হাত-পা কাঁপতে থাকে তখন আর আপনার চাকরি হবে না। এ জন্য চাই আত্মবিশ্বাস। আত্মবিশ্বাস যদি থাকে তাহলে অনেক কঠিন কাজও সফল করতে পারবেন।
* পেশাতে মেধা কাজে লাগান। যখন কোন কাজ আপনি করছেন মন থেকে তৃপ্তি নিয়ে করবেন। যদি মেধাকে মানুষের কল্যাণে কাজে লাগাতে  পারেন তখন অনেক ভাল লাগে এবং আপনার মেধা  যে শোষিতদের পক্ষে কাজ করতে পারছে।
* যে চাকরি আপনি করতে চান, সেই চাকরির জন্য যা যা যোগ্যতা এবং দক্ষতা প্রয়োজন তা সৃষ্টি করতে হবে। যেমন আপনি আইটিতে কাজ করতে চান ঠিক আইটি বিষয়ে আপনার পূর্ণ বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠতে হবে। যাতে করে চাকরির ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয়।
* আপনি যদি সৎ ও আন্তরিক হন। তাহলে পৃথিবীর কোন কাজই ছোট হবে না। কারণ প্রত্যেকটি কাজই সম্মানজনক। কোন কাজকেই হেন করা উচিত না। যে কাজটি করতে চান সেই কাজটি অবশ্যই সৎ হতে হবে। তখনই আপনার সফলতা দেখা যাবে। আর এর জন্য আপনার যোগাযোগটা ভালভাবে রাখতে হবে।
* ক্যারিয়ার মানে শুধু পেশা জীবন নয়, এটি একটি কর্মজীবনও বটে। ক্যারিয়ারের সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে যে আপনি যা’ই করেন সেটা দিয়ে যতটুকু সম্ভব মানুষের কল্যাণ করা। আর এটা মেধাকে আপনার সর্বোত্তম পর্যায়ে ব্যবহার করতে সাহায্য করে। এর জন্য নিজের যোগাযোগটা আপনার ভাল সুযোগের দ্বারপ্রান্তে এন দেয়। সব সময় মনে রাখতে হবে। যে আপনার ভাল যোগাযোগ নেই তাই বলে সুযোগ আসবে না এমনটা নয়। অবশ্যই আপনার মেধা থাকলে এবং কাজ করলে সুযোগ আসবেই।

চাকরির পূর্ব প্রস্তুতি

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শেষে ডিগ্রি অনুযায়ী একটি চাকরি পাওয়া খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু এই স্বাভাবিক ঘটনাটাই আমাদের দেশে এখন নানা কারণে অস্বাভাবিকতায় রূপ নেয়। প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রিই চাকরিতে আবেদনের যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত। কিন্তু চাকরি পাবার বেলায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে ডিগ্রির ভূমিকা গৌণ। অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্জিত বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান একজন প্রার্থীকে বেশিরভাগ সময় চাকরির পরীক্ষায় খুব বেশি সাহায্য করে না। এর পাশাপাশি যে বিষয়গুলো প্রয়োজন হয় সেগুলো হলো- বাংলা, ইংরেজি, গণিত, তথ্যপ্রযুক্তি, বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী, মানসিক দক্ষতা তথা মনস্তাত্ত্বিক জ্ঞান এবং সম্প্রতি ঘটে যাওয়া দেশ এবং বিশ্বের বিভিন্ন ঘটনাবলী। সব মিলিয়ে এগুলোকে বলা হয় সাধারণ জ্ঞান।
১. সাধারণ জ্ঞান কথাটি যত সাধারণ পরীক্ষার হলে ‘সাধারণ জ্ঞান’ তার চেয়ে বহুগুণ অসাধারণ হয়ে দাঁড়ায়। ফলাফল যা দাঁড়ায় তা হলো সাধারণ জ্ঞান তার সীমানা পেরিয়ে অসাধারণতায় রূপ নেয়।
২. চাকরির বাজারে অসহনীয় এবং অভাবনীয় প্রতিযোগিতার কারণে চাকরিদাতাগণ সীমিতসংখ্যক প্রার্থীকে গ্রহণের চেয়ে বহুসংখ্যক প্রার্থীকে বর্জনের বিষয়টিই আগে ভাবেন। তাই চাকরির পরীক্ষা গ্রহণের পরীক্ষা না হয়ে, হয়ে যায় বর্জন বা বাদ দেয়ার প্রক্রিয়া।
৩. এই বর্জনের প্রক্রিয়ায় নিজের অবস্থান নিশ্চিত করত হলে প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। পরিকল্পনা গ্রহণের ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ের প্রতি নজর রাখা দরকার, সেগুলো হলো- শিক্ষাগত যোগ্যতার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ক্যারিয়ার টার্গেট করতে হবে। টার্গেট অনুযায়ী আপনাকে নিয়মিত সময়, শ্রম, ধৈর্য এবং অর্থের বিনিয়োগ করতে হবে।
৪. প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শেষে চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করলে আপনাকে চাকরি না পাওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন আট থেকে দশ ঘণ্টা সময় প্রস্তুতির জন্য ব্যয় করতে হবে।
৫. কিন্তু যারা উচ্চ শিক্ষার শুরু থেকে প্রস্তুতি আরম্ভ করে তারা একাডেমিক লেখাপড়ার পাশাপাশি চাকরি পরীক্ষার একটি মানসিক প্রস্তুতি স্মরণে রাখে। এক্ষেত্রে তাদের অবসর সময়টাকে কাজে লাগায়।
৬. প্রতিদিন তারা অত্যন্ত সচেতনতার সাথে ২০ থেকে ৩০ মিনিট সময় এ খাতে ব্যয় করে। প্রতিদিনে তাদের এই ২০ মিনিট সময় প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাজীবন শেষে তাদের এমন এক অর্জনের মুখোমুখি দাঁড় করাবে যে প্রত্যাশিত চাকরি অনায়াসে ধরা দেবে হাতের মুঠোয়।
৭. অনেকের ক্ষেত্রেই সময় আসল সমস্যা নয়, মূল সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় সময়ের ব্যবস্থাপনা। সময় ব্যবস্থাপনায় আপনি যেন হেরে না যান এ কারণে আপনার থাকা দরকার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য এবং সে লক্ষ্য বাস্তবায়নের পূর্বক্ষণ পর্যন্ত অপরিসীম ধৈর্য।
এ কারণে আপনি যদি সময়, শ্রম, অর্থ এবং ধৈর্য সমানভাবে ব্যয় করতে পারেন তবেই আপনি পৌঁছতে পারবেন অভীষ্ঠ লক্ষ্যে, ধরতে পারবেন ভাল চাকরি নামক সোনার হরিণটিকে।

সময়ই বদলে দেয় ভাগ্যরেখা

আমরা সবাই ছোটবেলা থেকেই জেনে আসছি, সময় ও ¯্রােত কারো জন্য অপেক্ষা করে না। সময়কে নিয়ে এ প্রবাদটি যেমন চিরন্তন সত্য, ঠিক তেমনি জীবন গঠন করতেও অনেক প্রভাব ফেলতে পারে এই প্রবাদটি। সময়কে যদি সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারি তাহলে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছতে সময় লাগবে না। ক্যারিয়ারের যে কোনো বাধা ডিঙানো সম্ভব হবে সময়ের সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে। যদি সময়ের কাজ সময়ে করা হয়; তবে কেউ আটকে রাখতে পারবে না আপনার সাফল্যকে। তাই সময়ের কাজ সময়ে করা ভালো।
এ লক্ষ্যে সময়ের চাকাকে নিয়ন্ত্রণ করার মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে। আর এই শর্টকাট প্রসেসের নাম সময় নিয়ন্ত্রণ বা টাইম ম্যানেজমেন্ট। সকালে যখন সূর্যি মামা পূর্ব দিগন্ত আলো করে পৃথিবীকে তার আগমন বার্তা শোনায়; তখন হয়তো আপনি মাথার নিচে বালিশ রেখে শেষ প্রহরের স্বপ্ন দেখছেন। ঘুম থেকে উঠে হয়তো এলোমেলো ভাবছেন, কোনো নির্দিষ্ট পরিকল্পনা আপনার নেই। এ রকম লক্ষ্যহীন হয়ে জীবনে সফল হওয়া যায় না। এ জন্য শিখতে হবে টাইম ম্যানেজমেন্ট। এখন এ বিষয়ে রইলো কিছু পরামর্শ।
প্রথমেই চিন্তা করুন আগামীকাল কোন কাজটা সবচেয়ে জরুরি। সবার আগে সে কাজের প্রতি জোর দিন। চেষ্টা করুন। সময়মতো পারলেও সময়ের আগেই কাজটি শেষ করতে। এছাড়া অন্যান্য কাজকেও অবহেলা করলে চলবে না বরং আরও বেশি যতœ নিয়ে কাজগুলো করতে হবে।
* জীবনে অলস সময় নানাভাবে আপনার কাছে ধরা দেবে। ঠিক তেমনি সারাদিন কিছু অলস সময় আপনাকে হাতছানি দেবে। তার মানে এই নয়, অলস সময়কে হেলাফেলা করে কাটাবেন। অর্থাৎ অলস সময়কে দীর্ঘায়িত করা আর তাকে নিজের সঙ্গী ভেবে নেয়া একই কথা। যারা এই বিষয়টিকে প্রশ্রয় দেন, তারাই মনে-প্রাণে বিশ্বাস করেন, আজকের কাজ কালকে হলেও করা সম্ভব। কিন্তু আজকের কাজ কালকে করা সম্ভব নাও হতে পারে, এটি অলস সময় ভাবতে দেয় না।
* শুধু পরিকল্পনা নয়, চেষ্টা করুন তা বাস্তবায়ন করার। প্রথমে রুটিনমাফিক কাজ করা অসুবিধা হয়ে দাঁড়ায়। এটা কোনো ব্যাপার না। ধীরে ধীরে আপনি এটার সাথে অভ্যস্ত হয়ে যাবেন। তখন রুটিন মাফিক চলাটা অনেক সহজ হয়ে যাবে এবং আপনি সময়ের সঠিক ব্যবহার করতে পারবেন। পরবর্তীতে আপনি সময়কে নিজের মতো শাসন করতে পারবেন।
* তারুণ্যের সবচেয়ে বড় শক্তি গতি। গতিকে কেন্দ্র করে যে কেউ আবর্তন করতে পারে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যের দিকে। মনে রাখতে হবে যে, সময় ও ¯্রােত কারো জন্য বসে থাকে না। আপনার অবর্তমানে আরেকজন সময়কে ব্যবহার করতে পারলে আপনারও তা করার ক্ষমতা থাকা উচিত। মনে রাখতে হবে, সময় হলো শিকারী কুকুরের মতো প্রভুভক্ত। তাই তাকে শাসন করাই সাজে সবসময় আদর করা নয়। সময়কে যদি নিয়ন্ত্রণে না রাখতে পারেন তাহলে সফলতার পরিবর্তে ব্যর্থতা দিয়ে ভরে উঠবে জীবন।
* খেলাধুলা একজন তরুণকে দিতে পারে নির্ভেজাল আনন্দ। তাই প্রতিদিনের রুটিনে থাকা উচিত খানিকটা খেলাধুলা, খানিকটা আড্ডা কিংবা একটু ইন্টারনেট দুনিয়াটা দেখে নেয়া ইত্যাদি। এমনকি বন্ধুদের সাথে মজা করে খেতে গেলেও অনেক কিছু আবিষ্কার করা যায়, যা জীবনের কাজে লাগতে পারে। তাই বলা চলে প্রতিদিনকার ব্যবহারিক জীবন থেকে অনেক শিক্ষা নেয়া যায়।
* সেকেন্ডের হিসেবেও সময়কে হিসাব করা যেতে পারে এবং জীবনে সফল হতে হলে সময়কে এভাবে হিসাব করাই উচিত। তাই সময় নষ্ট করবেন না। মনে রাখতে হবে জীবনের প্রতিটি মুহূর্তই মূল্যবান। সে জন্য হিসাব কষে আর জীবনে চাওয়া-পাওয়ার বিন্যাসেই সময়কে খরচ করা উচিত। যারা সময়ের কাজ সময়ে করে তাদের কাছে সফলতা নতজানু স্বীকার করে। আর সময়ের সাথে বদলে যায় তাদের ভাগ্যরেখা।
সুত্র: ইনকিলাব

মিটিং-এ বডি ল্যাংগুয়েজ

চাকরি করতে হলে বিভিন্ন সময়ে বস বা অফিস কর্তাদের সঙ্গে মিটিং করতে হয়। আর এ সময় একজন কর্মকর্তার বডি ল্যাংগুয়েজ কেমন হওয়া উচিত তারই কিছু টিপস দেয়া হলো :
১. যদি এটাই হয় অফিসে প্রথম মিটিং তাহলে নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস রাখুন। সবার সামনে স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করবেন। কখনোই মিটিংয়ে উত্তেজিত হয়ে যাবেন না। মিটিংয়ে উত্তেজিত হলে আপনার হিতে বিপরীত হতে পারে।
২। কারোর প্রস্তাবের বিপক্ষে কিছু বলার আগে অবশ্যই তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলা শুরু করবেন। এর ফলে সবার দৃষ্টি যেমন আপনার দিকে পড়বে তেমনি তাকে অপমান না করে কৌশলে আপনার অভিমত ব্যক্ত করতে পারবেন।
৩। মিটিংয়ে যখন বক্তব্য রাখবেন তখন অবশ্যই বক্তব্যগুলো আগে থেকে গুছিয়ে বা বোর্ড কর্মকর্তাদের বক্তব্য দেয়ার সময় তা তুলে ধরে বক্তব্য দেবেন। এক্ষেত্রে আপনি বোর্ডের বক্তব্য জ্ঞাত হয়েছেন তা বোঝা যাবে।
৪। মিটিংয়ের বোর্ডরুমে প্রবেশ করার আগে মোবাইল ফোন সাইলেন্ট করে রাখুন। বাসায় আগে থেকে বলে রাখুন আজ মিটিংয়ের সময় দীর্ঘ হবে। আর একান্তই যদি জরুরি কল এসে থাকে তাহলে আসন থেকে আস্তে গিয়ে সঞ্চালকের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে বোর্ডরুমের বাইরে গিয়ে কথা বলুন।
৫। মিটিংয়ের আনুষঙ্গিক জিনিসগুলো কাছে রাখুন। যাতে প্রয়োজনীয় সময়ে সহজেই ব্যবহার করতে পারেন। তবে বর্তমান সময়ে মোবাইল ফোন আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে আবার এটা নিয়ে বিপত্তিরও শেষ নেই। যেমন মিটিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে এমন সময় আপনার মোবাইল কর্কশ আওয়াজ তুলে বেজে উঠল। তখন মিটিংয়ের মধ্যে সবাই আপনার দিকে চেয়ে থাকল। ব্যাপারটি যেমন বিব্রতকর এবং আপনার সম্পর্কে ভুল ধারণা তৈরি হবে।
৬। যদি মিটিংয়ে প্রবেশে একটু দেরি হয়ে যায় তাহলে ঢুকেই সবার কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নিন। আর মিটিং সঞ্চালকের কাছে অনুমতি নিয়ে তবেই আসনে বসবেন।
৭। মিটিংয়ে কখনো দেরি করতে যাবেন না। এতে আপনার প্রতি সবার খারাপ ধারণা হবে। চেষ্টা করুন মিটিংয়ে কিছু সময় আগে আসার জন্য। এতে আপনার ওপর যদি কোন দায়িত্ব থাকে, তা গুছিয়ে নিতে সাহায্য করবে।
৮। প্রথমে অফিসে গিয়ে নিজেকে শান্ত রাখুন। এরপর মিটিংয়ে গিয়ে সবাইকে শুভেচ্ছা জানান। শুভেচ্ছা জানানোর ভঙ্গিটি খুব স্মার্টভাবে উপস্থাপন করুন। তবে তা যেন উচ্চৈস্বরে না হয়ে শান্তভাবে প্রকাশ করুন। আর ঘড়ি দেখে ঠিক করে নিন তখন গুড মর্নিং না গুড আফটার নুন।
 

ক্যারিয়ার টিপস

 
 
Home, About, Contuct,
Copyright © Careers BD