শিক্ষকতা একটি মহান পেশা। তাই পেশা হিসেবে শিক্ষকতা অত্যন্ত সম্মানজনক
পেশা। যারা এ পেশায় আসতে চান তাদেরকে অর্থের চেয়ে সেবাকেই বেশি গুরুত্ব
দিতে হবে। কারণ শিক্ষকই গড়ে তোলেন আগামী প্রজন্ম। এ কারণে পৃথিবীর সব দেশে
এবং সমাজে সম্মান ও মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত রয়েছে শিক্ষকতা পেশা। অনেকে
আবার নামিদামি চাকরি ছেড়ে যোগ দিয়েছেন শিক্ষকতায়। যারা এই মহান পেশায় যোগ
দিতে চান তাদের জন্য প্রায় ১৫ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী
শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন প্রত্রিকায়। এ পেশায় যোগ
দিয়ে জাতির ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে গড়ে তোলার সংগ্রামে আপনিও রাখতে পারেন
অগ্রণী ভূমিকা। এ পেশা শুধু চাকরিরই নয়, দেশ ও জাতির বিবেককে জাগ্রত করার
সুমহান দায়িত্বও বটে।
যারা আবেদন করতে পারবেন
সহকারী শিক্ষক পদে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন উভয় ধরনের প্রার্থীদের নিয়োগ করা হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ ২.০০ থাকতে হবে। অথবা কোন স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। প্রার্থী যে উপজেলা বা থানার স্থায়ী বাসিন্দা, সেই উপজেলার জন্যই আবেদন করতে হবে। তবে বিবাহিত প্রার্থীদের ক্ষেতে স্বামী বা বাবার স্থায়ী ঠিকানা দুটি থেকে যেকোন একটিতে আবেদন করতে পারেন। তবে প্রার্থীর বয়স অবশ্যই ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে।
যেভাবে আবেদন করতে পারবেন
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd থেকে আবেদনপত্র ও প্রবেশপত্রের নমুনা সংগ্রহ করতে হবে। পূরণ করে আবেদনপত্র ও প্রবেশপত্র আগামী ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে ডাকযোগে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের বরাবরে পৌঁছাতে হবে। খামের ওপর প্রার্থীর নিজ উপজেলা বা থানার নাম লিখতে হবে। আবেদনের সাথে শিক্ষাগত যোগ্যতা ও নাগরিকত্বের সনদপত্রের সত্যায়িত ফটোকপিসহ পরীক্ষার ফি বাবদ ১৫০ টাকার ট্রেজারি চালানের মূলকপি, চার কপি ছবি এবং বিশেষ কোটায় আবেদন করলে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র দিতে হবে।
প্রস্তুতি নিবেন যেভাবে
সকল চাকরির মতো এ পেশাতে প্রতিযোগিতা অনেক বেশি, তাই ভাল প্রস্তুতি কোন বিকল্প নেই । প্রথমে লিখিত পরীক্ষা অংশ নিতে হবে। নৈর্ব্যত্তিক পরীক্ষায় চারটি বিষয় নিয়ে প্রশ্ন হয়ে থাকে । যেমন বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞান। এ পরীক্ষায় বাংলা অংশে ভাল করতে হলে নবম-দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ ভালভাবে রপ্ত করতে হবে। ইংরেজি অংশের জন্য ইংরেজি গ্রামার , গণিতের জন্য ভাল করতে হলে ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে শুরু করে নবম-দশম শ্রেণীর গণিত এর ওপর ভাল দখল থাকতে হবে। আর সাধারণ জ্ঞান অংশের জন্য সমসাময়িক রাজনীতি, খেলাধুলা, বিজ্ঞান ও সাম্প্রতিক ঘটনা প্রবাহের দিকে বেশি নজর দিতে হবে।
নিয়োগ প্রক্রিয়া যেভাবে সম্পন্ন হবে
লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থী নির্বাচন করা হবে। লিখিত পরীক্ষা নৈর্ব্যক্তিক (এমসিকিউ)পদ্ধতিতে ৮০ নম্বরের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। এই লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ২০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষায় ৫ নম্বর থাকে প্রার্থীর একাডেমিক ফলাফলের ওপর, বাকি ১৫ নম্বরের পরীক্ষায় প্রার্থীর উপস্থাপনা, বুদ্ধিমত্তা ইত্যাদিও বিষয়ে দেখা হয়। এ পরীক্ষা প্রতিটি জেলার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস কর্র্তৃক গঠিত কমিটির মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে।
বেতন স্কেল
এই পেশায় নিয়োগ পাওয়া প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একজন সহকারী শিক্ষক জাতীয় বেতন স্কেল ২০০৯ অনুযায়ী ৪৯০০-২৯০ ী ৭-৬৯৩০-ইবি-৩২০ ী ১১-১০৪৫০ টাকা এবং প্রশিক্ষণবিহীন সহকারী শিক্ষক ৪৭০০-২৬৫ ী ৭-৬৫৫৫-ইবি-২৯০ ী ১১-৯৭৪৫ টাকা পাবেন।
বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর
সেকশন ২, মিরপুর, ঢাকা ১২১৬।
ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd
যারা আবেদন করতে পারবেন
সহকারী শিক্ষক পদে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন উভয় ধরনের প্রার্থীদের নিয়োগ করা হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ ২.০০ থাকতে হবে। অথবা কোন স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। প্রার্থী যে উপজেলা বা থানার স্থায়ী বাসিন্দা, সেই উপজেলার জন্যই আবেদন করতে হবে। তবে বিবাহিত প্রার্থীদের ক্ষেতে স্বামী বা বাবার স্থায়ী ঠিকানা দুটি থেকে যেকোন একটিতে আবেদন করতে পারেন। তবে প্রার্থীর বয়স অবশ্যই ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে।
যেভাবে আবেদন করতে পারবেন
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd থেকে আবেদনপত্র ও প্রবেশপত্রের নমুনা সংগ্রহ করতে হবে। পূরণ করে আবেদনপত্র ও প্রবেশপত্র আগামী ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে ডাকযোগে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের বরাবরে পৌঁছাতে হবে। খামের ওপর প্রার্থীর নিজ উপজেলা বা থানার নাম লিখতে হবে। আবেদনের সাথে শিক্ষাগত যোগ্যতা ও নাগরিকত্বের সনদপত্রের সত্যায়িত ফটোকপিসহ পরীক্ষার ফি বাবদ ১৫০ টাকার ট্রেজারি চালানের মূলকপি, চার কপি ছবি এবং বিশেষ কোটায় আবেদন করলে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র দিতে হবে।
প্রস্তুতি নিবেন যেভাবে
সকল চাকরির মতো এ পেশাতে প্রতিযোগিতা অনেক বেশি, তাই ভাল প্রস্তুতি কোন বিকল্প নেই । প্রথমে লিখিত পরীক্ষা অংশ নিতে হবে। নৈর্ব্যত্তিক পরীক্ষায় চারটি বিষয় নিয়ে প্রশ্ন হয়ে থাকে । যেমন বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞান। এ পরীক্ষায় বাংলা অংশে ভাল করতে হলে নবম-দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ ভালভাবে রপ্ত করতে হবে। ইংরেজি অংশের জন্য ইংরেজি গ্রামার , গণিতের জন্য ভাল করতে হলে ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে শুরু করে নবম-দশম শ্রেণীর গণিত এর ওপর ভাল দখল থাকতে হবে। আর সাধারণ জ্ঞান অংশের জন্য সমসাময়িক রাজনীতি, খেলাধুলা, বিজ্ঞান ও সাম্প্রতিক ঘটনা প্রবাহের দিকে বেশি নজর দিতে হবে।
নিয়োগ প্রক্রিয়া যেভাবে সম্পন্ন হবে
লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থী নির্বাচন করা হবে। লিখিত পরীক্ষা নৈর্ব্যক্তিক (এমসিকিউ)পদ্ধতিতে ৮০ নম্বরের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। এই লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ২০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষায় ৫ নম্বর থাকে প্রার্থীর একাডেমিক ফলাফলের ওপর, বাকি ১৫ নম্বরের পরীক্ষায় প্রার্থীর উপস্থাপনা, বুদ্ধিমত্তা ইত্যাদিও বিষয়ে দেখা হয়। এ পরীক্ষা প্রতিটি জেলার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস কর্র্তৃক গঠিত কমিটির মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে।
বেতন স্কেল
এই পেশায় নিয়োগ পাওয়া প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একজন সহকারী শিক্ষক জাতীয় বেতন স্কেল ২০০৯ অনুযায়ী ৪৯০০-২৯০ ী ৭-৬৯৩০-ইবি-৩২০ ী ১১-১০৪৫০ টাকা এবং প্রশিক্ষণবিহীন সহকারী শিক্ষক ৪৭০০-২৬৫ ী ৭-৬৫৫৫-ইবি-২৯০ ী ১১-৯৭৪৫ টাকা পাবেন।
বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর
সেকশন ২, মিরপুর, ঢাকা ১২১৬।
ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd