সুন্দর ক্যারিয়ার গড়তে বদাভ্যাস দূর করুন

প্রত্যেক মানুষের কোন না কোন মুদ্রাদোষ থাকে। আমরা সচেতন বা অবচেতন মনে অনেক কিছুই করে থাকি। কিন্তু যারা কর্মজীবী তারা যদি অফিসে কাজের ফাঁকে তাদের মুদ্রাদোষ অব্যাহত রাখে তা হলেতো অফিসের পরিবেশ নষ্ট হয়।
দেখা গেল অফিস কলিকগদের মধ্যে খুব গুরুত্বপূর্ণ কোন আলোচনা চলছে, তাদের মধ্যে কেউ একজন দাঁত, নাক, নখ খুটছে। পাশের জন বিষয়টি দেখছে কিন্তু ভদ্রতার খাতিরে কিছু বলছে না। মুখে কিছু না বললেও নেতিবাচক একটি ধারণ তৈরী হয়। হাতের নখ কামড়ানো। বারবার পা নাড়ানো, জোরে জোরে হাত নেড়ে বা আঙুল তুলে কথা বলা, মাথা চুলকানো, নাকের ভেতর আঙুল দিয়ে চুলকানো, হাতের কাছে লম্বা কিছু পেলেই কানে ঢুকিয়ে দেয়া, আঙ্গুল ফোটানো, পাশের কলিগকে অহেতুক বিভিন্ন কথা জিজ্ঞেস করা। নিজের অজান্তেই অনেকের এগুলোর চর্চা করে। বাড়ির লোকেরা তেমন খেয়াল না করলেও, কর্মক্ষেত্রে এ সব নিয়ে সমস্যা হয়। অনেকের কাছে চরম বিরুক্তির কারণ হতে পারে।
কী করবেন
ঠিক সময়ে অফিসে যান। অফিসের টেলিফোনে দীর্ঘক্ষণ খোশ-গল্পে মশগুল না থাকাই ভালো। কারো সাথে অ্যাসাইনমেন্ট থাকলে নির্ধারিত সময়ে জায়গামত পোঁছতে হবে। নিজের মধ্যে এসব ভালো গুণগুলো আয়ত্ব করতে হবে, তা হলে নিজের ক্যারিয়ারে উন্নতি করতে পারবেন।
মুদ্রাদোষ বা বদাভ্যাস কী
মুদ্রাদোষ ও বদাভ্যাসের মধ্যে পার্থক্য হলো, মুদ্রাদোষ ঘটে মনের অজান্তে আর বদাভ্যাসের প্রকাশ ঘটে অনেকটা সচেতনভাবেই। অফিসে কারো পেছনে লেগে থাকা, কারো ব্যক্তিগত বিষয় সবার সাথে শেয়ার করা বা কারো দোষ সবার কাছে বলে বেড়ানো এগুলো বদাভ্যাসের পর্যায়ে পড়ে।
আর মুদ্রাদোষ খুব একটি স্বাভাবিক বিষয় নয়। মুদ্রাদোষ আর কিছু নয়,  সচেতনতার অভাব। কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোতে এ বিষয়টি খুব সহজভাবে নেয় না।  মুদ্রাদোষের কারণে বদলি বা চাকরি থেকে কৌশলে সরিয়ে নেয়ার নজিরও আছে। তাই নিজের মুদ্রাদোষকে স্বাভাবিকভাবে না নেয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
নিজেকে বদলান
মুদ্রাদোষ বা বদভ্যাস যাই বলি না কেন সবই বদলানো সম্ভব। আমাদের সদিচ্ছা থাকলেই এই সব অভ্যাস দূর করা যায়। মুদ্রাদোষ দূর করতে নিজের চেষ্টাই যথেষ্ট। নিজের মুদ্রাদোষ শনাক্ত করে সবসময় সচেতন থাকতে হবে। যিনি আনমনে বারবার পা নাড়ান, তার বসার ধরন বদলে ফেলতে হবে। হাত পেছনে রেখে কথা বলার অভ্যাস করতে পারেন।
অপরের সাহায্য নিতে পারেন
নিজেকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে সহকর্মীদের জানিয়ে রাখুন, যেন তারা সেই সময়টায় থামিয়ে দেন বা মনে করিয়ে দেন। নিয়মিত ব্যায়াম এক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করতে পারে। মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে অবশ্যই মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
আরো কিছু নিয়ম
কাজের সময় অফিসে গল্পে মেতে থাকবেন না। খুব জোরে হাসি অন্যের বিরুক্তির কারণ হতে পারে। অফিসে যাতে দেরি না হয় তাই ঘড়ি বা মোবাইল ফোনে অ্যালাম দিন। কখনই নিজের কাজ অন্যের উপর চাপিয়ে দিবেন না। প্রয়োজনে সহকর্মীর কাছ থেকে সাহায্য নিন। ত্রুটিপূর্ণ অভ্যাস রাতারাতি পরিবর্তন সম্ভব নয়। ধৈয্য ধরে চেষ্টা করে যেতে হবে। একসময় দেখবেন বদভ্যাস বা মুদ্রাদোষ পরিবর্তিত হলে নিজেকে অনেক হালকা লাগবে।
 
 
Home, About, Contuct,
Copyright © Careers BD