কোন প্রশিক্ষণ ছাড়াই নিজ উদ্যোগে মৌ ফার্ম গড়ে ছয় মাসের মধ্যে ভাগ্যের
পরিবর্তন করেছেন মেহেরপুরের ইমাদুল ইসলাম। তার এই উদ্যোগ দেখে অনেকেই
আশান্বিত হয়েছে। এক সময় বড় বড় গাছ আর বন-জঙ্গলে ঘুরে মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ
করতো মেহেরপুর শহরের ঘাট পাড়ার ইমাদুল ইসলাম। খুলনার এক মৌ খামারির
বাণিজ্যিক মৌচাষ দেখে আগ্রহ সৃষ্টি হয় তার। পরামর্শ নিতে গেলে তাকে আশাহত
করে ঐ খামারি। তবে আশাহত না হয়ে অনেক চেষ্টা করে দু’টো রানী মৌমাছি জোগাড়
করে শুরু করে মৌ চাষ। বর্তমানে ৪০টি রানী মাছি সাহায্যে ৪০টি বাক্সে চাক
তৈরি করে মধু সংগ্রহ করছেন তিনি। যা থেকে প্রতি সপ্তাহে ১৫ হাজার টাকা আয়
হচ্ছে তার।
মৌ চাষি ইমাদুল ইসলাম বলেন, স্বল্প সময়ের মধ্যে অভাবের
সংসারে ফিরে এসেছে স্বচ্ছলতা। বাবাকে মৌ চাষে সহায়তার পাশাপাশি এখন স্কুলেও
যাচ্ছে তার ছেলে। তার এই সফলতা দেখে অনেকের মধ্যে মৌ চাষের আগ্রহ
জন্মেছে।তিনি আরো বলেন,তার উৎপাদিত মধুর চাহিদাও রয়েছে প্রচুর। মৌসুম বুঝে
বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে মধু সংগ্রহ করেন তিনি।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এস. এম. নুর উদ্দীন আবু আল হালিম বলেন, কৃষিতে পরাগায়নের ক্ষেত্রে মৌমাছি বিরাট ভূমিকা রাখছে।